বৈশ্বিক করোনা পরিস্হিতিতে সারা বিশ্বের লোকজন যখন দিশেহারা এবং করোনা মোকাবেলায় অস্হির হয়ে পড়েছে ঠিক এমনি এক সময়ে বাংলাদেশের সকল জেলা শহর, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট বাজারগুলোতে কঠোর লক ডাউন পালনের সরকারি নির্দেশনা এসেছে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই চিত্রটি গাইবান্ধা জেলা শহরের যানবাহন চলাচলের একটি দৃশ্য। যা প্রমাণ করছে সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করার মত একটি দৃশ্য। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় কঠোর লক ডাউন পালিত হচ্ছে আবার অনেক জায়গায় শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হেড কোয়ার্টারে লক ডাউন পালন হচ্ছে আবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্বাঞ্চলের বেলকা,পাচপীর,শোভাগঞ্জ সহ আরও অনেক জায়গার দৃশ্য দেখলে মনে হয় লক ডাউনের কোন তোয়াক্কায় নেই। বেলকা বাজারের দোকানপাট গুলো সকাল ৭ টা থেকে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত পুরোদমে চলছে। এছাড়াও পাচপীর,শোভাগঞ্জ সহ পূর্বাঞ্চলের সব হাট বাজারের একই দৃশ্য।
সরকারের নির্দেশনায় যদি পশুর হাটগুলো বন্ধের নির্দেশনা থাকে তাহলে পশুর হাটগুলোর উপর কোন নজরদারী রাখা হচ্ছে না মর্মে গত মঙ্গলবার শোভাগঞ্জ হাটে জমজমাট পশুর হাট লেগেছিল এবং গত সোমবার বেলকা হাটেও জমজমাটভাবে পশুর হাট লেগেছিল এবং আজ বৃহস্পতিবারেও বেলকা হাটে পশুর হাট জমজমাট ভাবে লেগেছে। দেশের এই ভয়াবহ করোনা পরিস্হিতিতে রাস্তাঘাটগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে মাস্ক বিহীন বেপরোয়া চলাচল এবং মানুষ যখন এই করোনার ভয়াবহতার দুঃচিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সেখানে সরকারের দেওয়া বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কোথাও কঠোর লক ডাউন আবার কোথাও শিথিলতা এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার অবতারনা হচ্ছে। উক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনায় আনার জন্য গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করছি।