সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। সাদুল্লাপুর শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাদুল্লাপুর আইডল সিজন-২ (২০২১) সংগীত প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ববধানে ছিল সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন।
দিনব্যাপী গ্রান্ড ফাইনালে জেলার সুন্দরগঞ্জ ব্যতিত ছয় উপজেলার সেরা ১০ জন (অনুর্দ্ধ ২৫) কণ্ঠ শিল্পী অংশ গ্রহণ করে। তারা প্রত্যেকে দুটি করে লোক সংগীত পরিবেশন করেন। শেষে বিচারকমন্ডলী চ্যাম্পিয়নসহ ক্রমানুসারে সেরা দশজনের নাম ঘোষণা করেন। পরে চ্যাম্পিয়নসহ সেরা দশজনের হাতে পুরস্কার ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেয় আমন্ত্রিত অতিথিরা। এরমধ্যে চ্যাম্পিয়ন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপকে পুরস্কার হিসেবে একটি করে ফামিলি ডিপ ফ্রিজার, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীদের একটি করে এন্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন এবং বাকি পাঁচজনকে দুই হাজার টাকার সমপরিমাণের প্রাইজবন্ড দেওয়া হয়।
চ্যাম্পিয়ন সুব্রত কুমারের বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার মহিষবান্দি গ্রামে। সুব্রত কুমার সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রথম রানার্স আপ হয়েছে গাইবান্ধা সদরের মাস্টারপাড়ার তাসনিয়া তাবাসসুম বিনতে ফেরদৌস ও দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে পলাশবাড়ি পৌর শহরের মুনিফ আসহাব মানসিফ। এছাড়া চতুর্থ হয়েছে গাইবান্ধা পৌরসভার স্বজন খন্দকার, পঞ্চম হয়েছে পলাশবাড়ি পৌরসভার জয়শ্রী রায় চৈতী, ষষ্ঠ হয়েছে গোবিন্দগঞ্জের ফুলবাড়ির প্রিয়ন্তী চাকী, সপ্তম হয়েছে মৌরি মহন্ত পূরবী, অষ্টম হয়েছে সাদুল্লাপুরের বদলাগাড়ির ইসরাত জাহান জেরিন, নবম হয়েছে গাইবান্ধা পৌরসভার মাসিয়াত মনজিল জয়ী এবং দশম হয়েছে গাইবান্ধার মমিনপাড়ার দেবী সাহা।
গ্রান্ড ফাইনালে প্রধান অতিথি ছিলেন (ভার্চুয়াল) গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবীনেওয়াজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তাইফুর রহমান, সাদুল্লাপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল সরকার ও সাদুল্লাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান সোহেল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সাহারিয়া খান বিপ্লব। পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাদুল্লাপুর শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম।
গ্রান্ড ফাইনালে বিচারকের দায়িত্ব ছিলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সহকারী, সংগীত পরিচালক ও গীতিকার বকুল মহন্ত, গাইবান্ধা জেলার অন্যতম সংগীত ব্যক্তিত্ব ও লক্ষীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রনজিৎ সরকার ও রংপুর বেতারের নিয়মিত নজরুল সংগীতের কণ্ঠ শিল্পী ও সংগীত প্রশিক্ষক আশিষ সরকার নারায়ন। এছাড়া যন্ত্রশিল্পীর মধ্যে কী-বোর্ডে ছিলেন স্বাধীন, তবলায় মাহমুদ সাগর মোহাব্বত, অক্টোপ্যাডে প্রবীর, গিটারে ইমরান, বাঁশিতে ছিলেন কুড়িগ্রাম থেকে আসা স্বনামধন্য বংশীবাদক বিপেন বিহারি।
গত ১৫ জুন সাদুল্লাপুর আইডল সিজন-২ প্রথম অডিশন শুরু হয়। এতে জেলার (অনুর্দ্ধ ২৫) চৌকস শতাধিক সংগীত প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনকে নির্বাচিত করে প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৩৫ জনের মধ্যে ২০ জনকে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে সেরা দশজনকে নির্বাচিত করে গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়।
এরআগে, প্রতিভা অন্বেষণে অনলাইন সংগীত প্রতিযোগিতা সাদুল্লাপুর আইডল-২০২০ গ্রান্ড ফাইনাল রাউন্ড গত ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচজন ক্ষুদে শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করে, স্বচ্ছ স্বপ্নীল শপথ, দেবাশ্রী সরকার সৃষ্টি, সৈয়দা নিশামনি রিপ্তী, শ্রাবণী সরকার সিথি ও রিত্তিকা সাহা বর্ষা। এই সেরা পাঁচজনের মধ্যে ফেসবুক লাইকসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে সেরা শিল্পী সৈয়দা নিশামনি রিপ্তীকে ‘সাদুল্লাপুর আইডল’ চ্যাম্পিয়ান ঘোষণা করা হয়।
বিডি গাইবান্ধা ডট নিউজ / সম্পাদক