বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ও দুর্বার নেটওয়ার্ক নারীপক্ষ গাইবান্ধা জেলা কমিটির উদ্যোগে কাণ্ডারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা গাইবান্ধা ফকির পাড়া জেলা কার্যালয়ে পারিবারিক নির্যাতনের শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে দুটি পরিবারের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। গাইবান্ধা সদরের নারায়ণ পুর গ্রামের নুরুল মিয়ার ছেলে বাবলু মিয়ার সাথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালী গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে ফুলশাখী বেগমের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি ফুটফুটে সন্তান আসে। এর মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা হলে ফুলশাখী বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সদর উপজেলা শাখা গাইবান্ধা অফিসে অভিযোগ করেন। এরই পরিপেক্ষিতে আজ ২৮ জুন সোমবার কাণ্ডারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা গাইবান্ধা জেলা কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুপক্ষের যুক্তিতর্ক আলোকপাত করে উপস্থিত জনগণ, বিএইচআরসি ও কান্ডারী সংস্থার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ৩০-০৭-২০২১ তারিখ পর্যন্ত ফুলশাখী তার ভাই এর বাসায় অবস্থান করবে। তার স্বামী বাবলু মিয়া মাঝে মাঝে খরচপত্র নিয়ে সেখানে দেখা করবে। এর মধ্যে দুজনে পূর্বের মত সংসার করার মনমানসিকতা সৃষ্টি নাহলে ৩০-০৭-২০২১ তারিখে মেয়ের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কান্ডারী মহিলা উন্নয়ন সংস্থা রংপুর অঞ্চল সম্পাদক মাজেদা খাতুন কল্পনা, জেলা প্রতিনিধি নাজমা বেগম, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারহান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ ফয়সাল জনি, সদস্য সাজেদা পারভীন রুনা, শাহজালাল মিয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন কামাল আহমেদ বাবু, শাহরিয়ার, রাশেদুল, বুলবুল, জাহাঙ্গীর, রাজিউর রহমান প্রমুখ।