গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঝিনাশ্বরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আলমগীর কবির বাড়ী ভাংচুর করেছে আবুল কালাম ও তার গংরা। এতে করে ৫৬ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। থানায় এজাহার দায়ের।
গাইবান্ধা সদর থানার এজাহার সূত্রে ও ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে- গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঝিনাশ্বরে মৃত মেহের আলী আকন্দ পুত্র আলমগীর কবির এর সাথে একই গ্রামের মৃত ওমর আলীর পুত্র গংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শত্রুতা সহ বিজ্ঞ আদালতে জিআর- ৬৮৫/১৭( গাইঃ) জিআর ৬৭৯/১৭ (গাইঃ), জিআর- ৩৩/১৭ (গাইঃ) মামলা চলে আসছে। সে সাথে বাদীদেরকে বাঙালিদেরকে মারপিটসহ খুন জখম করার ভয়-ভীতি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ হয়।
পরে চলতি সালের গত ৭ মার্চ বাদী আলমগীর চাচা মৃত্যুবরণ করে। পরেরদিন ৮ ই মার্চ সকালে বাদী আলমগীর চাচার সৎকারে যায় এবং তার স্ত্রী পরিবারের অন্যান্য লোকজন মৃত চাচার বাড়িতে ভাত নিয়ে যায়। এতে করে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বিবাদী ও তার গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা ৮ মার্চ দুপুর ১২ টার দিকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর পুরাতন বসতঘরের ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে টিন সেড ঘর, সোকেজ, ষ্টিলের বাক্স, জানালা, দরজা সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫৬ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। সে সাথে ঘরের ভিতর থাকা ধান, সোকেজে থাকা কাচের মালামাল ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ড্রয়ার থাকা স্বর্ণালঙ্কার, হাড়ি পাতিল ও বাসন-কোসন চুড়ি করে নিয়ে যায়। সেই সংবাদ পেয়ে বাদীর স্ত্রী সহ মা বাধা দিলে সাদুল্লাপুর উপজেলার সালাইপুর গ্রামের মৃত সেরাজুল ইসলাম পুত্র হবিবর রহমান এর নির্দেশে তার লোকজন আলমগীর এর মা ও স্ত্রীকে মারপিট করে ছেলাফুলা জখম করে। বিবাদী আবুল কালাম বাদীর চুল ধরে এলোপাথারী ঘুসি মারতে থাকে এবং দুই হাত দিয়ে কালাম এর স্ত্রীর গলা টিপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে ও কালামের ভাই আমিনুর ইসলাম লোহার রড দিয়ে তার বাদীর মাকে মারপিট করে জখম করে। তখন তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আমিনুর তার গলার মধ্যে পা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং বিবাদীর আরেক ভাই জাহিদুল ইসলাম বুকে লাথি মারে। পরে বাদীর মেয়ে ৯৯৯ কল দিলে থানা থেকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে খুন জখম, বাড়ি ঘরে আগুন লাগানোর হুমকি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি অবহিত হয়।
উপরোক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আলমগীর কবির বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।