গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের দক্ষিন উল্লা গ্রামের আতিকা সুলতানার দিনদুপুরে নৃশংস খুন ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানান গুঞ্জন। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
সন্ধায় সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উৎসুক জনতা ও এলাকাবাসীর হাত থেকে সুলতানার মা হামিদাকে রেহাই করতে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে থানায় নিয়ে আসে।
সুলতানার মাকে থানায় নিয়ে আসার খবর মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে এবং তার মা নিজেই তার মেয়েকে খুন করেছে বলাবলি শুরু হয়।
পরে থানা পুলিশের এস আই নয়ন কুমার লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট করে মরদেহ ভ্যান যোগে রাতে থানায় নিয়ে আসে।
এসময় উৎসুক জনতার ভীড় সামলাতে হিমশিম খেয়ে যায় পুলিশ ।
সুলতানার পিতা ক্বারি আমিনুল ইসলাম বলছে তার মানসিক ভারসাম্যহীন পুত্র তানজিল অর্থাৎ সুলতানার ভাই তাকে খুন করতে পারে। তবে তিনি তার স্ত্রীকে সাংবাদিকদের কাছে নির্দোষ দাবি করেন।
আবার এলাকাবাসী বলছে সুলতানার গর্ভধারিণী মা তার মেয়ের প্রেম নিয়ে পারিবারিক দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে নিজেই তার কন্যাকে খুন করেছে।
আবার সুলতানার মা বলছে তার মেয়ের প্রেমিক রাসেলসহ আরেকজন তার মেয়েকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করে চলে গেছে ।
একেক জনের একেক বক্তব্য প্রকাশ করে মিডিয়া জগতেও এই নৃশংস খুন নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়।
তবে আর যাই হোক প্রেম ঘটিত ঘটনাকে কেম্দ্র করে যে খুন হয়েছে তা এলাকাবাসী ও সুলতানার পরিবারের বক্তব্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সাঘাটার ভরতখালি ইউনিয়নের দক্ষিন উল্লা গ্রামে সুলতানা খুন হয়েছে।
এরিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত সাঘাটা থানার এসআই নয়ন কুমার জানান, আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার লিখছেন। এজাহারে পুত্র তানজিল ও স্ত্রী হামিদাকে আসামী করেছেন।
থানায় হামিদা বেগম পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের কোন কথার উত্তর না দিয়ে শুধু কেঁদেই চলেছে বলে জানা গেছে।