বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মদপানে অসুস্থ্য ব্যক্তির ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় থানা পুলিশ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে পুলিশ মুন হোমিও, পারুল হোমিও, করতোয়া হোমিও ও করমোটেরি হাসান হোমিও হল থেকে চার জনকে আটক করে। বগুড়ার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- শহরের ফুলবাড়ি এলাকার পারুল হোমিও ল্যাবরেটরিজের স্বত্বাধিকারী নুরুন্নবী (৫৮), করতোয়া হোমিও হলের শহিদুল আলম সবুর (৫৫), হাসান হোমিও হলের কর্মচারী আবু জুয়েল (৩৫) ও গলাপট্টি এলাকার মুন হোমিও হলের স্বত্বাধিকারী আব্দুল খালেক (৫৫)।
বগুড়ায় মদপানে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার বাদী মদপান করে চিকিৎসাধীন রঞ্জুর বড় ভাই মনোয়ার। তিনি তার মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করেন। সেখানে নাম রয়েছে খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান শাহীন, পুনম, পারুল ও ইউনিয়ন হোমিও হলের মালিক নুর আলম, নুরনবী ও নূর মোহাম্মদ। আসামীদের মধ্যে নুর আলম, নুরনবী ও নুর মহাম্মদ আপন তিন ভাই।
এদিকে বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া সুলতানা ও তাসনিমুজ্জামানের নেতৃত্বে একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে একাধিক হোমিও দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় অনুমোদনহীন, মিসব্রান্ডেড ওষুধ, রেজিস্টারবিহীন ওষুধ, লাইসেন্সবিহীন ও চিকিৎসক ছাড়া ওষুধের দোকানে জরিমানা করা হয়। সবমিলে প্রায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।