দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৬০ টি পৌরসভার ন্যায় গাইবান্ধা ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ২০২১ এ পৌরসভায় নির্বাচিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
১৬ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিজয়ীদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আব্দুল মোত্তালিব।
কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে শেখ শাহিন পানির বোতল প্রতিক ২ হাজার ৭ শ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোঃ কামাল আহম্মেদ উট পাখি প্রতিক ১হাজার ১শ ২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছে। এখানে ৪টি কেন্দ্রে ৫হাজার ৫শ ৮৪ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
২ নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ২নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে আবু জাফর মোঃ মহিউদ্দিন ব্রীজ প্রতিক ১হাজার ৫শ ৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি তানজিমুল ইসলাম পানির বোতল প্রতিক ১হাজার ২শ ৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৪টি কেন্দ্রে ৫হাজার ৮শ ৩৮ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৩নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৩নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে কামাল হোসেন ব্লাক বোর্ড প্রতিকে দুই হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোঃ শফিকুল ইসলাম সামু উট পাখি প্রতিকে ১হাজার ২শ ৭৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৪টি কেন্দ্রে ৭হাজার ৫শ ৬৭ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৪ নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৪ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে মোঃ রকিবুল হাসান সুমন পাঞ্জাবি প্রতিকে ১হাজার ৬শ ১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ব্রীজ প্রতিকে ১হাজার২শ ৪০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৪টি কেন্দ্রে ৭হাজার ৫শ ৬৯ ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৫নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে মোঃ আব্দুল সামাদ (রোকন) পানির বোতল প্রতিক ১হাজার ৫শ ৪৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আব্দুল হাই উট পাখি প্রতিক ১হাজার ১শ ৫০ পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৩টি কেন্দ্রে ৪হাজার ৬শ ১৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৬নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৬ নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে শহীদ আহমেদ টেবিল ল্যাম্প প্রতিক ১হাজার ৪শ ৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি সাজ্জাদ হোসেন রানা উট পাখি প্রতিক ১হাজার ৩শ ৫৭ পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখান ৩টি কেন্দ্রে ৪হাজার ৫শ ৯৪ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৭নং ওয়ার্ডঃকাউন্সিলর পদে ৭ নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ব্রীজ প্রতিক ১হাজার ৬শ ৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার
নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আব্দুল আজিজ সরকার পাঞ্জাবি প্রতিক ১হাজার ২শ ৮৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৩টি কেন্দ্রে ৬হাজার ২শ ৯৬ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৮নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৮ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে শেখ সর্দার আসাদুজ্জামান পানির বোতল প্রতিক ৯শ ৬৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি অমিত কুমার সাহা উট পাখি প্রতিক ৮শ ৭৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে দুটি কেন্দ্রে ৩হাজার ৮শ ২৭ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
৯নং ওয়ার্ডঃ কাউন্সিলর পদে ৯ নং ওয়ার্ড থেকে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে কাজি হুমায়ুন কবির স্বপন উট পাখি প্রতিক ১হাজার ৯শ ৬৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ইউনুস আলী শাহীন টেবিল ল্যাম্প প্রতিক ১হাজার ৭শ ৩৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৪টি কেন্দ্রে ৫হাজার ৪শ ৯৩ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ঃ সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ (কাউন্সির) পদে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে মোছাঃ মাহাফুজা খান আনারস প্রতিক ২হাজার ৫শ ৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোছাঃ রিভা আকতার দ্বিতল বাস প্রতিক ২হাজার ১শ ৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ১২ টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৯শ ৮৯ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসন-২ঃ সংরক্ষিত মহিলা আসন-২ (কাউন্সির) পদে ৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে বেগম মমতা সরকার চশমা প্রতিক ৩হাজার ৪শ ৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোছাঃ অঞ্জনা রানী জবা ফুল প্রতিক ২হাজার ৮শ ৯৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ১০ কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৭শ ৮২ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩ঃ সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩ (কাউন্সির) পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেন। এর মধ্যে মোছাঃ সাবিনা বেগম জব ফুল প্রতিক ৪হাজার ৬শ ৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি মোছাঃ দিলরুবা পারভীন চশমা প্রতিক ৩হাজার ৬২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এখানে ৯টি কেন্দ্রে ১৫হাজার ৬শ ১৬ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
অন্যদিকে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৩৩টি সাধারণ ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ-আল-মারুফ।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী যারা-
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ছামিউল ইসলাম (পানির বোতল) ৯৭৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. স্বপন বাবু (গাজর) ৬১৫ ভোট পান। ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মাজেদুর রহমান প্রামাণিক রুনু (উট পাখি) ৬৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. মঞ্জু মিয়া (টেবিল ল্যাম্প) পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জামিউল ইসলাম (টেবিল ল্যাম্প) ৭১৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সাজু মিয়া (উট পাখি) ৩৯৩ ভোট পান। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৯৯ ভোট পেয়ে মো. মাহবুবুবর রহমান (পানির বোতল) নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সাখাওয়াত হোসেন (উট পাখি) পান ৪৮৭ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মশিউর রহমান (উট পাখি) ৫৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সুজা মিয়া (পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ২২৮ ভোট। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. লাবলু মিয়া (উট পাখি) ৪২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. ইমদাদুল ইসলাম (ডালিম) পেয়েছেন ৩৩১ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহীন মিয়া (উট পাখি) ৪৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. শহিদুল ইসলাম (পানির বোতল) পেয়েছেন ২৯৩ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান (উট পাখি)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সাজু মিয়া (পাঞ্জাবি) পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দীপক কুমার সরকার (পানির বোতল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ আলী (উট পাখি) পেয়েছেন ৪৭২ ভোট।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী যারা
১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. রুবিয়া বেগম (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কল্পনা রানী (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ১৪২ ভোট। ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে রত্না রানী (আনারস) ১ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোছা. রুজিনা বেগম (চশমা) পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৯ ভোট। ৩ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১ হাজার ১২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. মনোয়ারা বেগম (জবা ফুল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পেয়েছেন মোছা. হোসনে আরা বেগম (চশমা) পেয়েছেন ১ হাজার ৪ ভোট।