গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের গাছুরবাজারে ডাকাতির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নাজমুলকে মারধরে আহত। থানায় অভিযোগ। অভিযুক্তদের অভিযোগ অস্বীকার।
অভিযোগ ও সরেজমিনে প্রকাশ, সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১নং খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রামের নাজমুল হক গত ৮ জানুয়ারি গাছুরবাজারে সকালে নাস্তা করতে জনৈক ফুল মিয়ার হোটেলে আসে।নাস্তা করাকালে একই ইউনিয়নের মধ্য ফুলবাড়ি গ্রামের ছোট ডাক্তারের ছেলে রানা মিয়া, মাসুদ মিয়া ও পশ্চিম ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত কবেজ উদ্দিনের ছেলে সামিউল ওই হোটেলে আসে। এসময় সকাল ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা নাজমুলকে ডাকাতি করার প্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের এহেন প্রস্তাবে নাজমুল রাজি না হলে তাকে তারা মারধরে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে নাজমুলের স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে ঘটনার দিন সাদুল্লাপুর থানা একখানা লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে অভিযুক্তরা এ ঘটনা অস্বীকার সহ তাদের কাছে নাজমুল ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেছিল বলে জানান। আর টাকা না দেয়ায় নাজমুল এসব অপপ্রচার চালিয়ে তাদের সমাজে হেয় করছে বলে তারা জানান। তারা আরো জানান, নাজমুল বিভিন্ন সময় ডাকাতি সহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো আমরা তাকে ভালো হওয়ার জন্য বারবার বলে আসছি এবং ঘটনার দিনও তাকে ভালো হওয়ার কথা বললে উভয়ের মধ্যে ওই হোটেলে তর্ক বিতর্ক হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হলে নাজমুল আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষই সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।