ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাপেরহাট ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রচারণা মাইকসহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ওপর হামলা ও সরকারি গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের পীরের হাটে এঘটনা ঘটে। জানা যায় – ৩১জানুয়ারী সাদুল্লাপুর উপজেলায় ৮টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাপেরহাট ইউনিয়নে পীরেরহাট নামক জায়গায় চশমা মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শহিদুল ইসলাম (শিপন) এর সমর্থকরা নৌকা মার্কার প্রচারণাকারী মাইক ভাংচুর এবং ভ্যান চালককে মারপিট করে।পরে বিষয়টি জানতে পেয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপরও অতর্কিত ভাবে হামলাকরে শিপনের সমর্থকরা। হামলায় উপজেলা পরিষদের সরকারি গাড়ীর পিছনের গ্লাস ভাংচুর হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন- আমি ধাপেরহাটে আত্মীয়র বাসায় এসেছিলাম। নৌকা মার্কার মাইক ভাংচুর ও ভ্যান চালককে মারপিটের খবর পেয়ে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমি ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে সহস্রাধিক বাহির ইউনিয়নের লোকজনসহ বিএনপি জামাত নেতা শিপন আইন বিরোধী মিছিল করার চেষ্টা করলে প্রশাসন মিছিলটি পন্ড করে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে শিপন ও তার সমর্থকরা নৌকা মার্কার মাইক ভাংচুর ও ভ্যান চালকে মারধর করে। পরে আমাকে পেয়ে অতর্কিত ভাবে আমার ওপরও হামলা করে এবং সরকারি গাড়ীটি ভাংচুর করে। এবিষয়ে শহিদুল ইসলাম (শিপন) মুঠোফোনে বলেন- পীরের হাটে আমার কর্মী সমাবেশ ছিল। কর্মী সমাবেশে নৌকা মার্কার লোকজন ঢিল ছুড়লে বিষয়টি নিয়ে ওখানে মিমাংসা করি।এবিষয়ে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন- লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই হামলার ঘটনায় শিপনসহ হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে নৌকা মার্কার সমর্থকরা ধাপেরহাট মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।।